1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০২:৩৪ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

১২৬ রানেই গুটিয়ে গেল বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২২
  • ৬০১ বার পঠিত

ক্রীড়া ডেস্ক : মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে ইতিহাস গড়লেও ক্রাইস্টচার্চে এসে সেই পুরনো ব্যাটিং ব্যর্থতার নজির রাখল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিন নিউজিল্যান্ড পেসারদের তোপে প্রথম ইনিংসেই তারা গুটিয়ে গেছে মাত্র ১২৬ রানে। সফরকারীরা পিছিয়ে আছে ৩৯৫ রানে!

যে উইকেটে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটাররা সাবলীল ব্যাটিংয়ে বিশাল সংগ্রহের ভিত গড়েছে, সেই একই উইকেটে বাংলাদেশের ব্যাটিং ইনিংসে দেখা মিলল ভিন্ন চিত্র। শুরুতেই এলোমেলো হয়ে যায় সফরকারীরা। মাত্র ১১ রান তুলতে হারায় টপ অর্ডারের ৪ উইকেট! কিছুই করতে পারেননি সাদমান ইসলাম, নাঈম শেখ, নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল।

নাঈম তো অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংস মোটেও স্মরণীয় করতে পারলেন না। সাজঘরে ফিরেছেন রানের খাতা খোলার আগেই।

দ্রুত দুই ওপেনারকে হারানোর পর সফরকারীরা ঘুরে দাঁড়াবে কী, উল্টো শান্তও ব্যর্থতার মিছিলে যোগ দেন। বোল্টের দ্বিতীয় শিকার হয়ে মাত্র ৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তিনি। দলের এ অবস্থায় অধিনায়ক হিসেবে বাড়তি দায়িত্ব ছিল মুমিনুলের। কিন্তু তিনি নিজেই রানের খাতা খুলতে পারলেন না! সাউদির বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন খালি হাতে। ব্যর্থতার মিছিলে তার পর যোগ দেন লিটন দাস। বিগত ইনিংসগুলোয় ধারাবাহিক এই ব্যাটার ১৮ বল খেলে করতে পেরেছেন ৮ রান। তাকে ব্লান্ডেলের গ্লাভসবন্দি করিয়েছেন বোল্ট।

মাত্র ২৭ রানে পড়েছে টপের ৫ উইকেট। ইয়াসির আলী ও নুরুল হাসান মিলে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল না দিলে হয়তো আরও বাজে কিছু হতো। দেখতে দেখতে দলীয় স্কোর শত রানের কাছে পৌঁছায় এই দুই ব্যাটারের কল্যাণে। কিন্তু দলীয় ৮৭ রানে টিম সাউদির দুরন্ত গতির কাছে পরাস্ত হতেই হয় নুরুল হাসানকে। লেগ বিফোরে আম্পায়ার আঙুল তুলে দেন সরাসরি। নুরুল হাসান রিভিউ নিলেও রক্ষা হয়নি। আম্পায়ার্স কলে বিদায় নিতে হয়েছে। ফেরার আগে ৬২ বলে ৪১ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস উপহার দেন নুরুল হাসান। এই জুটিতে যোগ হয় গুরুত্বপূর্ণ ৬০ রান।

তার পর মিরাজ ছিলেন শেষ প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যান। কিন্তু অফস্পিনার অলরাউন্ডার টিকে থাকার ধৈর্য দেখাতে পারলেন না। ৩৩ বল খেলা এই ব্যাটারকে বোল্ড করেছেন ট্রেন্ট বোল্ট। আর এই উইকেট তুলে নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩০০ উইকেটের মাইলফলকও ছুঁয়ে ফেলেন কিউই পেসার। মিরাজের বিদায়ে লেজ বের হয়ে যায় সফরকারীদের।

একপ্রান্ত আগলে ইয়াসীর শুধু নিজের ব্যাটিং দক্ষতার প্রদর্শনী করতে পেরেছেন। তুলে নিতে পেরেছন ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট ফিফটিও। তবে ৫৫ রান করার পর আগ্রাসী হতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন জেমিসনের বলে।৯৫ বল খেলা ইয়াসিরের ইনিংসে ছিল ৭টি চার। তার বিদায়ের পর শরিফুলও বোল্ড হলে ১২৬ রানেই শেষ হয় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।

নিউজিল্যান্ডের হয়ে সেরা বোলিং ছিল ট্রেন্ট বোল্টের। ৪৩ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। ২৮ রানে ৩টি নিয়েছেন টিম সাউদি। ৩২ রানে দুটি নিয়েছেন কাইল জেমিসন।

এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে রাজত্ব করেছে নিউজিল্যান্ড। ৬ উইকেটে ৫২১ রানে ইনিংস ঘোষণার পথে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ল্যাথাম খেলেছেন ২৫২ রানের ঝলমলে ইনিংস। ডাবল সেঞ্চুরির পথ প্রথম দিনই করে রেখেছিলেন। সুযোগটা নষ্ট করেননি বাঁহাতি ওপেনার। দ্বিতীয় দিনের সকালেই টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি পূরণ করেছেন তিনি। মুমিনুলের বলে আউট হওয়ার আগে ৩৭৩ বলের ইনিংসটি কিউই অধিনায়ক সাজান ৩৪ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায়।

ল্যাথামের সঙ্গে ৯৯ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করেছিলেন ডেভন কনওয়ে। প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন এই ব্যাটার। যদিও শতক পূরণের পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। রান আউট হয়ে দিনের শুরুতেই তিনি ফিরলে উইকেট উদযাপনের উপলক্ষ দ্রুতই পায় বাংলাদেশ। তার বিদায়ে ভাঙে ল্যাথামের সঙ্গে ২১৫ রানের জুটি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দুর্দান্ত সময় পার করা এই ব্যাটার করেছেন ১০৯ রান। ১৬৬ বলের ইনিংসটি কনওয়ে সাজান ১২ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায়।

আগের দিন যেখানে গোটা দিনে ১ উইকেট পেয়েছিল বাংলাদেশ, সেখানে দ্বিতীয় দিনে প্রথম সেশনেই বাংলাদেশের প্রাপ্তি ছিল ৪ উইকেট। শরিফুল ইসলামের বলে ড্যারিল মিচেল আউট হওয়ার পরপরই লাঞ্চের বিরতি দেন দুই আম্পায়ার। নুরুল হাসান সোহানের গ্লাভবন্দি হওয়ার আগে কিউই ব্যাটার করতে পেরেছেন মাত্র ৩ রান। ল্যাথাম ফিরে যাওয়ার পর টম ব্লান্ডেল অপরাজিত ছিলেন ৫৭ রানে। ইনিংস ঘোষণার সময় তার সঙ্গে ক্রিজে ছিলেন ৪* রান করা কাইল জেমিসন।

বাংলাদেশের দুই পেসার শরিফুল ও এবাদত দুজনই পেয়েছেন ২টি করে উইকেট। আর ১ উইকেট শিকার মিরাজের।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..